উপনগরায়নের বৈশিষ্ট্য লেখ।
উপনগরায়নের বৈশিষ্ট্য লেখ।

অতি নগরায়নের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত একটি ধারণা হলো উপনগরায়ন। এটি একটি অন্তর নগরের আবাসন এলাকার বাইরে ধীরগতিতে বিকাশমূলক প্রক্রিয়া টিকে নির্দেশ করছে। আর এইভাবে বিকশিত শহর হল একটি উপনগর, যেটি নগরের ওপর নির্ভরশীল। প্রসঙ্গত দিল্লি হল একটি দৃষ্টান্ত। দিল্লির নিকটবর্তী গ্রামাঞ্চল গুলি সহজেই শিল্প, বাণিজ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি এবং সুবিধা সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। অবশ্য সকল প্রদেশের সকল নগরের উন্নয়ন সমান না হওয়ার কারণে নগরায়নের একই পদ্ধতি দেখা যায় না। তবে শিল্পায়নের সাথে সাথে দুটো নগরায়ন সূত্রে জনসংখ্যা বাড়তে থাকে। যা উপনগরয়ন তথা উপনগরের গঠনকে ত্বরান্বিত করে তুলেছে।
উপনগরের বৈশিষ্ট্য হিসেবে বলা যায়-
- যারা নিয়মিত শহরের কর্ম ক্ষেত্রে যাতায়াত করে তারা নগরের প্রান্তর সীমায় বিচ্ছিন্নভাবে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ জীবনযাত্রা গড়ে তোলে এবং এখানে বসবাসকারী প্রতিবেশী বন্ধুদের মধ্যে পরিবারের মতো সম্পর্ক থাকে।
- অধিকাংশ উপনগরী নগরের উপকণ্ঠে অঞ্চল নিয়ে গঠিত এবং জীবিকা, বিনোদন ও জল সরবরাহের ক্ষেত্রে রূপে নগরের উপর নির্ভরশীল।
- অনুযায়ী মূল অংশের বাইরে অঞ্চলগুলি হলো উপনগর এবং কয়েকটি দিক থেকে এগুলির সাথে পার্থক্য আছে। যেমন- a. শহরের তুলনায় জনঘনত্ব কম। b. এগুলিতে ব্যক্তিগত স্থান অন্তর্ভুক্ত থাকে। c. লোক বসতি বৈচিত্রপূর্ণ হলেও চিত্র থাকে যা শহরে অনুপস্থিত.।
- ঠিক মূল্যবোধের দিক থেকে বলা যায়, বাড়ি এবং জমির মালিকানা মানুষের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর উপনগর মানুষের এই স্বপ্ন পূরণ করে।
- উপনগরী সংক্রান্ত গবেষণায় এগুলির বর্ণনায় একঘেয়ে এবং নগরের বিপরীত বৈশিষ্ট্যগুলিকে করলেও একটি বিষয় সত্য যে এখানকার কানসই প্রায় একই ধরনের জীবিকা, রুচি বা সামাজিক আচরণ পরিবারে গঠনে অভ্যস্ত।
- একই জাতীয় বৈশিষ্ট্য থেকে দায়িত্ববোধ গড়ে ওঠে। প্রসঙ্গত বলা যায় যারা কোন দিক থেকে অন্যদের থেকে আলাদা, তারা সেই প্রতিবেশীর মধ্যে বাস করতে পছন্দ করেনা।
- উপনগর গলিতে নগরের সব বৈশিষ্ট্য থাকলেও ক্ষেতছো বা বুঝতে অঞ্চল নেই বললেই চলে। উপনগরের সরল সামাজিক কাঠামো পৃথক এবং এখানে বৈচিত্র কম।
পরিশেষে বলা যায়, উপনগর অঞ্চল নগর থেকে বিচ্ছিন্ন নয়, কারণ যে সমস্ত উপকরণ সামগ্রী পাওয়া যায় না, সেগুলির জন্য অনেকগুলি উপনগর একটি নগরের উপর নির্ভরশীল থাকে। অবশ্য উপনগর কে নগরের এলাকা গণ্য করা হয়েছে।