ডিপি মুখার্জির পদ্ধতিতত্ত্ব আলোচনা কর। অথবা মার্কসি লজিস্ট বলা হয়? তার পদ্ধতি তত্ত্ব আলোচনা কর।
ডিপি মুখার্জির পদ্ধতিতত্ত্ব আলোচনা কর। অথবা মার্কসি লজিস্ট বলা হয়? তার পদ্ধতি তত্ত্ব আলোচনা কর। Part-02

পদ্ধতিতত্ত্বের ত্রুটি সমাজ সম্পর্কে জ্ঞানার্জনের পথে প্রতিবন্ধক হয় তিনি নতুন পদ্ধতি তথ্য নির্মাণকল্পে মার্কসীয় ধারণায় গুরুত্ব দেন কারণ- (i) মার্কসবাদ পুঁচিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী (ii) মার্কসীয় গবেষক আত্ম সমালোচনার পথে গবেষণা কর্ম পরিচালনা করে (iii) ভারতীয় জীবনে নৈব্যক্তিকতা এবং অর্থনৈতিক রূপান্তর করছে। তাই সমাজ পরিবর্তন অনুধাবনে ঐতিহাসিক বস্তুবাদ এর অধ্যয়ন প্রয়োজন ওমানের গঠনের কৌশল নির্দেশ করে সমাজবাদ প্রতিষ্ঠাকে সামর্থ্য করে তুলতে পারে। অবশ্য মার্কসীয় পদ্ধতিতে মহাচ্ছন্ন থেকে যান্ত্রিকভাবে প্রয়োগে বিশ্বাসী ছিলেন না। কারণ- (i) ভারতে অর্থনৈতিক শক্তির কেমন শক্তিশালী নয়, (ii) প্রীতি যে ছাপ মুছে যায় না বলে ঐতিহ্যের সাথে মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা অনুধাবনের পর অর্থনৈতিক শক্তির প্রভাবে ভারতের ঐতিহ্যের পরিবর্তনের সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করা আবশ্যক।
মার্কসবাদী পদ্ধতির ব্যবহারের সীমাবদ্ধতায় বলেন – (i) মাকসীয় তত্ত্বের ডানদিক সূত্র গুলি নির্ধারণ বাধি প্রবণতা যুক্ত, কিন্তু ইতিহাসকে এভাবে পূর্ব নির্ধারিত ছকে বেঁধে ফেলা যায় না। (ii) মার্কসবাদী কোন দ্বন্দ্বের ভিত্তিতে সব কিছুর ব্যাখ্যা প্রদান করে কিন্তু ভারতীয় সমাজে জাতিগত ঐতিহ্যের দ্বারা শ্রেণীদণ্ড আবৃত রয়েছে। (iii) যারা ভারতের শ্রেণী বিভক্ত ব্যবস্থা দ্বন্দ্বকে ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবর্তনের কথা ভাবেন তারা ভারতীয় ঐতিহ্যকে উপেক্ষা করছেন। কারণ তার মতে মাক্স ভারতের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ উপনিবেশিকতা কে সমর্থন এবং ভারতীয় ঐতিহ্যকে উপেক্ষা করছেন। (iv) নির্ধারণ বাদী প্রবণতা সমাজের চলমানতাকে বাধা দান করে। (v) ভারতীয় ঐতিহ্যের প্রতিরোধমূলক শক্তিকে মোকাবিলার জন্য উৎপাদন ব্যবস্থার পরিবর্তনের প্রয়োজন কিন্তু ভারতেরা সম্ভব নয়।
তার ভাষায় “It is not enough for the indian sociologist to be a sociologist, he must be an indian first that he a share in the purpose of the understanding his social system and what ties benith it beyond it.”
এই কারণে তার দাবি একজন ভারতীয় সমাজতাত্ত্বিককে তুলনামূলক এবং ডান দিক দৃষ্টিভঙ্গি সমন্বয় সূত্রে সমাজ অনুশীলনের এক সংবাদ রূপ গড়ে তুলতে হবে তুলনামূলক পদ্ধতি দ্বারা ভারতীয় সমাজের সাথে অন্যান্য সমাজের তুলনা করা এবং ডানদিক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে ভারতীয় সমাজের সমন্বয় ও বিচ্ছিন্নতাকে অনুধাবন সম্ভব হবে।