ডিপি মুখার্জির পদ্ধতি তত্ত্ব আলোচনা কর।
ডিপি মুখার্জির পদ্ধতি তত্ত্ব আলোচনা কর। Part-01

পাশ্চাত্য মডেল অনুসরণ সূত্রে বিমুর্ত সাধারণীকরণ নীতির প্রয়োগ করে ভারতীয় সমাজ সংস্কৃতির অনুশীলন কর্মে অর্থনীতিবিদদের ব্যর্থতা বিষয়ে সচেতন থেকে দিল চির ভাষ্য তাত্ত্বিক ধারণায় প্রভাবিত হয়ে দৃষ্টিবাদী পদ্ধতির দ্বারা দার্শনিক পদ্ধতির প্রতি বৈষম্যতা লক্ষ্য করে সর্বোপরি মার্কসবাদে গুরুত্ব আরোপ করে তুলনামূলক এবং ডানদিক দৃষ্টিভঙ্গির সমন্বয়ে সমাজ অনুশীলন পদ্ধতির এক সংবাদ রূপ গঠনে আগ্রহী ছিলেন।
তার দাবি ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক বিকাশে ধারাতে বিকশিত ভারতীয় অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ব্যাখ্যাদানে অর্থনীতিবিদদের ব্যর্থতার কারণ হলো এই সমাজ সম্পর্কে তাদের জ্ঞানের অজ্ঞতা। তার মতে সামাজিক ব্যবস্থার অতীত বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ আছে যা বোঝার জন্য (i) বাস্তবতার উপাদান গুলির মৃত স্কয়ার প্রকৃতি (ii) বাস্তবতার অতীত এবং (iii) বাস্তবতার পরিবর্তন আনায়নকারী উপাদান গুলির ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা থাকা আবশ্যক। কিন্তু সংকীর্ণ বিশেষীকরণ এই পথে বাধা দান করে থাকে। যেমন রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ব্যক্তিকে রাজনৈতিক অর্থনীতিতে অর্থনৈতিক এবং জীববিদ্যার প্রজননের সক্ষম সত্তা হিসেবে ধরা হয়েছে। কিন্তু সমাজতত্ত্বই কেবল সামগ্রিকভাবে ব্যাখায় সাহায্য করে কারণ সকল সমাজবিজ্ঞানের তদভূমি সমাজতত্ত্বের মেঝে কিন্তু এর ছাদ আকাশ পর্যন্ত উন্মুক্ত। তিনি অখন্ড ব্যক্তিত্বকে ব্যক্তিত্বকরণ এবং সমাজায়নের সামান্য হিসেবে অনুশীলন করা প্রয়োজন বলে দাবি করেন।
তিনি বলেন স্বতন্ত্রতার কারণে মানবিক বিজ্ঞানের বিষয়বস্তু নিছক বৈজ্ঞানিক উপায় বোঝা সম্ভব নয়। তাই বিজ্ঞানবাধিকার সমালোচনার ধারা হিসেবে ভাষাত্ত্বিক ধারা গ্রহণ এবং ব্যবহারের পক্ষপাতি ছিলেন। অবশ্য ডিল সির তত্ত্বে নির্মম আপেক্ষিকতাবাদ তৈরি হতে পারে। আবার গবেষণাতে সমালোচনা মূলক দৃষ্টিভঙ্গির অভাব সম্পর্কে সচেতন থেকে নৈব্যক্তিকতা এবং পাশ্চাত্যের কোন একটি মাত্র গ্রহনে আগ্রহী নন।
পাশ্চাত্য সমাজতত্ত্ব দর্শনকে আগ্রহ করে বৃষ্টি বাদে জোর দেয় বলে ব্যক্তিত্ব অনুসরণে এটিকে সমালোচনা করে বলেন ব্যক্তিত্বের বিষয় গত দিক থেকে বৈজ্ঞানিক এবং বিষয়গুলো দিক থেকে অনুধাবন সূত্রে ব্যাখ্যা সম্ভব। অবশ্য অনুধাবন বলতে অখণ্ডের আলোকে অংশকে জানায় জোর দিয়েছেন। আবার দৃষ্টিবাদ কর্মকর্তার পছন্দ অপছন্দের মূল্যায়নে ব্যর্থ হলেও তিনি ইহা বর্জনের পরিবর্তে বৈজ্ঞানিক বহুত্ববাদের সাথে দার্শনিক একাত্মবোধের সমন্বয়ের পাশাপাশি দার্শনিক তত্ত্বের আরোহী ও অবরোহী ধারার সমন্বয় চেয়েছেন। তার মতে ভারতীয় মধ্যবিত্ত মানসিকতা সম্পন্ন বুদ্ধিজীবীদের দ্বারা সামাজিক বিজ্ঞান গুলিকে বিজ্ঞান হিসেবে গড়ে তোলার আগ্রহ থেকেই স্বাস্থ্য গুলি পরস্পর থেকে পৃথক হয়ে পড়েছে।
তার মতে সমাজতত্ত্বের কাজ হল সমাজের অস্তিত্বের সহায়ক শক্তিগুলির প্রকৃতি অনুশীলন করা এবং এই কারণে একজন ভারতীয় সমাজতাত্ত্বিককে ভারতীয় ঐতিহ্য বিষয় জ্ঞ্যাত্র হতে হবে আর এর জন্য দার্শনিক পদ্ধতি হলো উৎকৃষ্ট পদ্ধতি আমেরিকান ক্ষেত্র সমীক্ষা পদ্ধতি নয়।
তিনি বলেন পাশ্চাত্য সমাজতত্ত্ব ব্যাক্তিকে আত্মবিশারী এককে পরিণত করায় ব্যক্তি হয়ে পড়েছে। তার মতে ভারতের ব্যক্তির সাথে সমাজের নিবিড় + থাকার কারণে ব্যক্তিকে পুরুষ হিসেবে দেখা হয়, যা একজন ব্যক্তির চতুর্পার্শস্থ্য উন্নয়নের সহযোগিতা এবং মূল্যবোধের দ্বারা বিকশিত হয়। অর্থাৎ ভারতীয় সমাজ গোষ্ঠীগত ক্রিয়াকর্মা অনুসারী যা অনুধাবন সূত্রে অবহিতই সম্ভব।